মুন্না শেরপুর জেলার সদর উপজেলার সাপমারী গ্রামের আব্দুস সামাদ খানের ছেলে। সোমবার বিকেলে তাকে ৫ দিনের পুলিশ রিমান্ডের আবেদনসহ আদালতে সোপর্দ করা হলে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহসিনা হোসেন তুষি আগামী বুধবার রিমান্ড শুনানির তারিখ ধার্য করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। ধর্ষণের শিকার নারীর ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ধর্ষক মুন্না খানের শ্বশুরবাড়ি ফরিদপুর জেলায়। গত ৭ অক্টোবর মুন্নার স্ত্রী সন্তান প্রসব করে। বোনের দেখাশোনা করার জন্য মুন্না তার শ্যালিকাকে বাড়িতে নিয়ে আসেন। দু’দিন থাকার পর শ্যালিকা ফরিদপুরে চলে যেতে চাইলে মুন্না তাকে ঢাকা পর্যন্ত দিয়ে আসবেন বলে রোববার সকালে গাড়িতে করে শেরপুর শহরের নিজ বাসায় রাজবল্লভপুরে নিয়ে যান। সেখানে তিনি সকাল থেকে কয়েক দফায় শ্যালিকাকে ধর্ষণ করেন এবং কয়েকজনের সহযোগিতায় ধর্ষণের ভিডিও চিত্র ধারণ করেন।
দুলাভাই মুন্না শ্যালিকাকে হুমকি দেন, ঘটনা কাউকে জানালে ভিডিও ইন্টারনেটে ছেড়ে দেয়া হবে। নিরুপায় হয়ে রোববার রাতে ওই নারী ৯৯৯-এ ফোন করে ঘটনাটি পুলিশকে জানায়। খবর পেয়ে সদর থানার পুলিশ রাজবল্লভপুরের বাসা থেকে ভিকটিমকে উদ্ধার করে। পরে মধ্যরাতে ধর্ষক মুন্নাকে শহরের হাসপাতাল রোড থেকে আটক করে পুলিশ। ওই ঘটনায় ভিকটিম বাদী হয়ে লম্পট ভগ্নিপতি ও তার ৩ সহযোগীসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ এবং পর্নোগ্রাফি আইনে পৃথক দু’টি মামলা করেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে শেরপুর সদর থানার ওসি (তদন্ত) মনিরুল আলম ভুঁইয়া বলেন, ওই ঘটনায় ভিকটিমের অভিযোগের প্রেক্ষিতে সদর থানায় ধর্ষণ ও পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা হয়েছে। ধর্ষক ভগ্নিপতিকে পুলিশ রিমান্ডের আবেদনসহ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। সহযোগী অন্য আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।