চীনের উদ্যেগেই বাণিজ্য অভ্যুত্থান ঘটলো এশিয়ায়। এশিয়া ও প্রশান্তমহাসাগরীয় অঞ্চলের ১৫টি দেশ নিয়ে রোববার গঠিত হলো বিশ্বের সবচেয়ে বড় মুক্ত বাণিজ্য জোট-আরসিইপি। বৈশ্বিক অর্থনীতিতে এর বড় ধরনের প্রভাব পড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। আসমা তুলির ডেস্ক রিপোর্ট। রোববার ভিয়েতনামের রাজধানী হ্যানয়ে আসিয়ান শীর্ষ সম্মেলনের শেষদিনে ‘রিজিওনাল কম্প্রিহেনসিভ ইকোনমিক পার্টনারশিপ -আরসিইপি নামে নতুন বাণিজ্য জোট গঠনের চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। চীনের নেতৃত্বেই এশিয়া ও প্রশান্তমহাসাগরীয় অঞ্চলের ১৫টি দেশ নিয়ে তৈরী হয় বিশাল এই বাণিজ্য জোটটি। দক্ষিণ-পূরব এশিয়ার জোট আসিয়ানের ১০টি দেশের সঙ্গে চীন, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড থাকছে এই জোটে। ওবামার শাসনামলে ১২ দেশের ‘ট্রান্স প্যাসিফিক পার্টনারশিপ’ চুক্তিতে অর্ন্তভুক্ত হয় যুক্তরাষ্ট্র। তবে পরবর্তীতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সেই চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে বের করে আনেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন এই বাণিজ্য চুক্তির ভৌগোলিক ও অর্থনৈতিক পরিসর বেশ প্রশ্বস্ত। কারণ বিশ্বের এক-তৃতীয়াংশ জনসংখ্যা ও ২৯ শতাংশ জিডিপি এর অর্ন্তভুক্ত। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো-কানাডা বা ইউরোপীয় ইউনিয়নের চেয়েও এটি বড়। তবে আরসিইপি জোটকে বিশ্ব বাণিজ্যে চীনের ক্যু বলেও অ্যাখ্যা দিচ্ছেন অনেকে।